ভলান্টিয়ার্স : সাইন ইন | রজিস্টার

উমম আল কুয়েন এর আমিরাত

উমম আল কুয়েন এর আমিরাত আরবীয় উপসাগরের (আরাবীয়ান গাল্ফ)তীরে অবস্থিত এবং এর সীমানা বিস্তৃত হলো শারজাহ্‌ আমিরাত (পশ্চিম) এবং রাস আল খাইমাহ্‌ (পূর্ব) তীর বরাবর ২৪কিলোমিটার পর্যন্ত। উমম আল কুয়েনের এলাকা হলো প্রায় ৭৭৭বর্গ কিলোমিটার, যা হলো দেশের এলাকার 1% (দ্বীপাঞ্চলকে বাদ দিয়ে)-এর সমান। ডিসেম্বর 2005 এর জনগণণা অনুযায়ী উমম আল কুয়েন আমিরাতর জনসংখ্যা হলো 49159 জন। আমিরাতর রাজধানী হলো উমম আল কুয়েন শহর।

উমম আল কুয়েন আমিরাতর জনসংখ্যা হলো 49159 জন, ডিসেম্বর 2005 এর জনগণনার অনুযায়ী। উমম আল কুয়েন শহরটি হলো আমিরাতর রাজধানী। শহরের মধ্যে একটি বিশাল গভীর খাঁড়ি আছে যেটি লম্বায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এবং প্রস্থে প্রায় এক কিলোমিটার। শহরটি হলো মহামান্য শেখ সৌদ বিন রশিদ আল মৌলার বাসস্থান। একইসঙ্গে শহরটিতে যাবতীয় সরকারী দপ্তর, সংস্থা, ব্যাঙ্ক, বাণিজ্যিক কেন্দ্র, বাণিজ্যিক সামুদ্রিক বন্দর এবং সামুদ্রিক গবেষণা কেন্দ্রও রয়েছে, যা দেশের মাছ চাষের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

আমিরাতর অন্যতম শহরতলী এলাকা হলো ফালাজ আল মৌলা, যা উমম আল কুয়েন থেকে ৫০কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এই নামটি এসেছে ‘‘ফালাজ’’ থেকে, যা হলো মাটি থেকে উঠে আসা অথবা পাহাড় থেকে আসা জল। ফালাজ আল মৌলায় যে বিরাট পরিমাণ কৃষি কাজ ছড়িয়ে পড়েছে তার কারণ হলো মাটির উর্বরতা এবং টাটকা জল পাওয়া যাওয়ার কারণে।

উমম আল কুয়েন শহর থেকে প্রায় 1 কিলোমিটার দূরে হলো সিনিয়া দ্বীপটি, এবং সেটি প্রায় 90 কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি হলো হরিণ, সামুদ্রিক পাখি এবং ম্যানগ্রোভসের প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এলাকা। উমম আল কোয়েনের কাছে, তীর বরাবর বাকি এলাকায়, পাওয়া যায় সবচেয়ে পুরানো পুরাতাত্ত্বিক শহর যা আরবীয় উপদ্বীপের দক্ষিণ পূর্বে দু হাজার বছর আগে গড়ে উঠেছে, যাকে বলা হয় আল দৌর। পুরাতাত্ত্বিকরা যে খনন কার্য চালাচ্ছেন তাঁরা অনেক পুরাতাত্ত্বিক জিনিসপত্র পেয়েছেন যেমন, প্রাচীন পাথরের বাড়ি, পাথরের সমাধিক্ষেত্র, সেরামিক, মিশরীয় এবং শামি (মেসোপটেমীয়) সভ্যতার কাঁচের জিনিসপত্র।