ভলান্টিয়ার্স : সাইন ইন | রজিস্টার

ফুজেরাহ এর আমিরাত

ফুজেরাহ আমিরাত অন্য সব আমিরাতের মধ্যে অনন্য, কারণ এটি ওমান উপসাগরের উপর, হোমুজ প্রণালীর বাহিরে অবস্থিত। ফুজেরাহর সৈকত ওমান উপসাগর থেকে প্রায় নব্বই কিলোমিটার প্রসারিত, যার ফলে ফুজেরাহ তার অনন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থিতি পায়।

ফুজেরাহ আমিরশাহীর আয়তন ক্ষেত্র 1965 কিলোমিটার, যা দ্বীপ সমূহ ছাড়া দেশের মোট এলাকার 1.5 % এর সমতূল্য। ডিসেম্বর 2005 এর জনগণনা অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা 125,698। ফুজেরাহ শহর ফুজেরাহ আমিরশাহীর রাজধানী, মহামান্য শেখ হামাদ বিন মোহঃ আল শারকির বাসভবন তথা সমস্ত সরকারি বিভাগ, সংস্থা এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এখানে অবস্থিত। এছাড়া ফুজেরাহ শহরে আছে এর বন্দর ও ফুজেরাহ আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট যা নৌপরিবহন ব্যবসায় ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। ফুজেরাহ ও ওমান উপসাগরের পূর্ব উপকূলের মধ্যে অবস্থিত আছে তার বিখ্যাত পর্বত মালা, দেশের সবচেয়ে উর্বর অঞ্চল যা বিবিধ খামারে পূর্ণ।

ফুজেরাহ তার উপভোগ্য সমুদ্রসৈকতের তটরেখা, নিকটবর্তী উচ্চ পর্বতমালা, প্রাকৃতিক উপত্যকা ও ঝরনার মনোহর দৃশ্যের জন্য লোভনীয়। ডিব্বা ফুজেরাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যা মৎস্য ব্যবসায় ব্যতীত বিভিন্ন কৃষি ও পশুপালন প্রজেক্টের জন্য বিখ্যাত।

ফুজেরাহর হেরিটেজ গ্রাম আইন মাদাব উদ্যানের পাশে অবস্থিত যেখানে রাখা আছে অতীত গৌরবের গাথা যেমন পুরাতন গৃহ শৈলী, অতীতে ব্যবহৃত রন্ধন পাত্র এবং পুরাতন কৃষি সেচন পদ্ধতি। ফুজেরাহর মিউজিয়াম সাজিয়ে রেখেছে আমিরশাহীতে আবিস্কৃত পুরাতত্ত ও সংস্কৃতির সম্ভার, যা 4500 বছরের আগের, এছাড়া আছে আল বাদিয়া মসজিদ, যা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রাচীনতম মসজিদ,যাকে বলা হয় অতমান মসজিদ, এটি এর উপরিভাগের অনন্য চারটি ছোট গম্বুজের জন্য বিখ্যাত।